রামপাল নিয়ে আমার কিছু মতামত

না রামপাল নিয়ে কথা বলতে হলে আপনাকে সংবিধান মুখস্ত করতে হবেনা । কিন্তু যখন আপনি বলেন আপনি দেশের মালিক তখন আপনার অজ্ঞতার প্রতি আঙুল তোলাই যায় । আর সে জন্য আপনি নিজে দায়ি । দেশের মালিক একজন হতে পারেন না । দেশের মালিক এ দেশের ১৮ কোটি জনগন , আপনি একা পুরো ১৮ কোটি জনতা নন , সেক্ষেত্রে আপনি একা এ দেশের মালিকও নন । প্রজাতন্ত্রেত সকল ক্ষমতার মালিক জনগন এখানে জনগন শব্দ টা ব্যবহার করা হয়েছে আপনার নাম উল্লেখ করা হয়নি মাননীয় ল্যান্ডলর্ড । রামপাল প্রকল্প আপনার পছন্দ হয়নি আদালতে গিয়েছেন পাত্তা পাননি । ইয়াইএ রিপোর্টে প্রকল্প পাশ হয়েছে আপনি আমলে নেন নি ।


আপনি অনলাইনে ছড়ান বাংলাদেশ একা ঋণ শোধ করবে আদতে তা সত্য নয় , প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ এবং ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি। ৭০ শতাংশ ঋণ ও এর সুদ কেবল বাংলাদেশ পরিশোধ করবে একথা একদম সত্য নয়। এবং এসব বলে ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রকল্প সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে । যে ৭০ শতাংশ ঋণ হিসাবে নেওয়া হবে তার সুদ ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি.’ (যার মালিকানা ৫০:৫০) পরিশোধ করবে। ইক্যুইটি ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ১৫ শতাংশ ভারত সরকার প্রদান করবে। এবং এই তথ্য টুকু বাম দল গুলো এবং রাম্পাল বিরোধীরা একমনে এড়িয়ে চলছে উলটো মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে । আচ্ছা আজ যদি বিদ্যুৎ কেন্দ্র টা ইন্ডিয়ায় করা হত তাহলে বলতেন নিজের টাকায় ইন্ডিয়ায় কেন ? ? ? ? সরকার নামিয়ে ফেলতেন এই বলে ... । ।
কিছু দিন আগে UNDP প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে । কিন্তু আপনি হয়তো বলবেন সরকার UNDP কে ভয় দেখিয়েছে । জ্বি হা হাসিনার এতো পাওয়ার যে জাতিসংঘ ও হাসিনার ভয়ে কিছু বলতে পারেনা ! আপনি এখনো বুঝতে পারেন নি আগামী দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কয়লার ওপর অন্তত ৪০ ভাগ নির্ভরশীল হতে না পারলে দেশ খাদের কিনারে চলে যাবে । গ্যাসের ওপর আর কয় দিন ? মেট্রো রেল হতে দেবেন না , কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেবেন না , রূপপুরপরমানু কেন্দ্র হতে দেবেন না । আপনি হয়তো চীনের টাকায় দুটো খেতে পড়তে পারবেন কিন্তু কোটি কোটি জনতা কাজ কোথায় করবে ?
এই বাম দল নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়ে একটি আপরাধ করেছে, পরের অপরাধ হল জনমানুষকে বিভ্রন্ত করছে। ভুল, মন গড়া , গাঁজাখুরি তথ্যে ভরপুর। লোনের সুদ ২%। পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ চাই, এটা ২০৪০ সালের স্লোগান। JICA এর মতে ২০৪০ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদা ৪৯ হাজার মেগাওয়াট , গড়ে প্রতিটি জেলাতে ৮০০ মেগাওয়াটের বেশি, মানে সব জেলাতেই বড় বড় বিদ্যুৎ প্লান্ট বসাতে হবে, সমস্যা ভয়ানক, জমি পাওয়া যাবে বলে হয় না। নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ এবং জ্বলানী নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় অর্থনীতির মুক্তি সম্ভব না। মহাপরিকল্পনা মতে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কয়লা হতে আসবে, রামপাল, বাঁশখালী, মাতার বাড়ী, বাকি তিনটার জায়গা ঠিক হয়নি, এই পরিমান বিদ্যুৎ সময় মত জাতীয়গ্রীডে যোগ না হলে সবকিছুই স্হবির হয়ে যাবে। ২০০১-০৬ সালে শত শত কলকারখানা প্রডাকশনে যেতে পারেনি শুঁধু বিদ্যুতের অভাবে। গত ৬ বছরে পোষাক খাতে কর্মসংস্হান হয়েছে ৫০ লাখ মানুষের। 

আগামী ১০ বছরে আরও কয়েক কোটি মানুষেকে কাজ দিতে হবে গ্যাস দিয়ে এতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবেন ? মূল ব্যাপার টা হচ্ছে চলমান প্রকল্প গুলো হয়ে গেলে আওয়ামী লীগকে আগামী ২০ বছরেও উৎখাত করা যাবেনা । তাই এসব প্রতিটা উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দিতেই হবে । তাইনা ?

এডসেন্সের বিকল্প সেরা সাইট এর সম্বন্ধে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন ।
ফ্রী তে পেওনিওর মাস্টার কার্ড পেতে এবং  সেই সাথে ২৫ ডলার ফ্রী পেতে  এই লিংকে ক্লিক করুন । 
যে কোনো প্রকার মতামত নিচের ফেইসবুক মতামত অপশন থেকে দিতে পারবেন । 
আমাদের ফেইসবুক পেইজে জয়েন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন । 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল যেখানে প্রায় হাজার খানেক ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে যা দেখে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং , ভিডিও ইডিটিং (এডোব প্রিমিয়ার প্রো ) এবং অফিস ম্যানেজমেন্টের কাজ বিণামূল্যে ফুল কোর্স করতে পারবেন । ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে এই লিংকে ক্লিক করুন । 

Share on Google Plus

About Writer

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment

0 comments:

Post a Comment